দক্ষিণ আমেরিকায় করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ মাইলফলক

আর্জেন্টিনায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা রোববার দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর কলোম্বিয়াও সংক্রমণের নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে।

 

এতে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর করোনা প্রাদুর্ভাবের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা।-খবর রয়টার্সের

অঞ্চলটিতে এখন ৫০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ রোগে পজিটিভ এসেছেন। শনিবার পর্যন্ত সেখানে দুই লাখ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণ বেড়েই চলছে। যদিও অর্থনীতিকে সচল করতে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ভাবা হচ্ছে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার আট শতাংশ দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাস করেন। কিন্তু করোনার ৩০ শতাংশ সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে এ অঞ্চলেই।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো ও বলিভিয়ার জিনাইন আনেজের মতো নেতারাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে কলোম্বিয়ায় করোনা সংক্রমণ তিন লাখ অতিক্রম করেছে। আর প্রাণহানি ঘটেছে ১০ হাজারের বেশি।

শুরুতে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে মোটামুটি সফল ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানে মহামারীর প্রবণতা বাড়তে দেখা গেছে।

রয়টার্সের হিসাবে, আক্রান্তের শীর্ষে থাকা বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে পাঁচটিই দক্ষিণ আমেরিকার। অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দেশটির অবস্থান।

ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৮০০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৪১ জনের।

রোববার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ লাখ ৩০ হাজার মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৯৪ হাজার ১০৪ জনের।

মেক্সিকোতে শনিবার ৯ হাজার নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর মৃত্যুর সংখ্যায় তারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে।

পেরুতেও সংক্রমণ সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। কোয়ারেন্টিন শিথিল করে দেয়ার পর সেখানে মহামারী ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

শনিবার সাত হাজার ৪৪৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত মে মাস থেকে দেশটিতে যে সংখ্যাটা সর্বাধিক।

;